ডিপ্লোমা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যে সব বিষয়ে চাহিদা বেশি সে গুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল । বাংলাদেশ হল টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্পের জন্য দ্রুততম উন্নয়নশীল দেশ । বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস হল প্রধান উৎস । বাংলাদেশের সর্বোমোট রপ্তানীর ৮৩% হল টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্প। বাংলাদেশের টোটাল জিডিপিতে টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টসের অবদান হল ৮২% । বিশে^র মধ্যে পোশাক উৎপাদনে চায়নার পর বাংলাদেশের অবস্থান।পশ্চিমা ফ্যাশন ব্রান্ডের ২য় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানী কারক দেশ বাংলাদেশ । বাংলাদেশের ৬০% ইউরোপিয়ান বায়ারস্ ৪০% আমেরিকান বায়ারস বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় করে । টোটাল টেক্সটাইল শিল্পে ৫% বিনিয়োগ কারী হল বিদেশী।বাংলাদেশের টেক্সটাইল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি Green Manufacturing( পরিবেশ বান্ধব ) এর উপর প্রতিষ্ঠিত । Green factory গুলোর মধ্যে ১৩ টি বাংলাদেশে অবস্থিত তাদের মধ্যে প্লামি ফ্যাশন, রেমী হোল্ডিংস, ভিনটেজ ডেনিম ,এনভয় ডেনিম অন্যতম।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাহিদা:
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর খুব দ্রুত চাকুরী পাওয়া সম্ভব। বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে । দেশকে সারা বিশ্বের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের উচিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি বেছে নেয়া। টেক্সটাইল শিল্পে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এতোবেশী যে অনেক ক্ষেত্রে পাস করার পুর্বেই শিক্ষার্থীদের চাকুরী হয়ে যায়।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দেশে কাজ করার পাশাপাশি দেশের বাহিরে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ আছে। টেক্সটাইল শিল্পে চাকুরীর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এই সেক্টরে ফলাফলের চেয়ে দক্ষতাকে বেশী মূল্যায়ন করা হয়। তাই নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যে কেউ একটি ভাল অবস্থানে যেতে পারে। খুব কম সময়ে আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব । আমাদের দেশে বিদেশী অনেক বায়িং হাউজ আছে। এখানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা অনেক বেশী,ভাল সুযোগ সুবিধা এবং ভালমানের বেতন প্রদান করে।
দেখা যায় যে ” চাকুরী নেব না চাকুরী দেব” কথাটির শতভাগ সফলতা টেক্সটাইল তথা গামেন্টস টেকনোলজিতে পাওয়া যায়। এই সেক্টরে skill knowledge এবং attitude দিয়ে শিক্ষা অর্জন সাপেক্ষে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নিজেই সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন। NIET থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করা গ্রাজুয়েটদের অনেকেই আছে যাদের নিজস্ব বুটিক হাউজ স্মল কোটেজ ইন্ডাস্ট্রি, কেমিক্যাল ব্যবসা আছে, যেখানে আরো অনেক লোকজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
কোর্স শেষে চাকুরীর ক্ষেত্র এবং পদমর্যাদা:-
NIETথেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর বিশ্বমানের টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস শিল্পে যেমন প্লামি ফ্যাশন, বেক্সিকো, রেমী হোল্ডিংস,এনভয় টেক্সটাইল,নোমান গ্রুপ ও ডিবিএল এ চাকুরীর সুযোগ আছে। বর্তমান বিশ্বে চাহিদার ভিত্তিতে বৈচিত্রময় বস্ত্রের অগ্রাধিকার। আর্ন্তজাতিক ক্রেতাদের চাহিদা পূরন করার জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ টেক্সটাইল টেকনোলজিস্ট এর প্রয়োজনীয়তা অনেক।
বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে,বায়িং হউজ, টেক্সটাইল কেমিক্যাল ল্যাব মাল্টিনেশনাল টেস্টিং ল্যাব,সরকারী বেসরকারী জুট মিলে। দেশের বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী শিল্প কারখানায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। NIET থেকে অনেক ছাত্র ছাত্রীরাই Internee থাকা অবস্থায় চাকুরীতে যোগদানের সুযোগ পায়। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে এবং বাইং হাউজে সহকারী অফিসার, টেকনিশিয়ান, জুনিয়র মাচেন্ডাইজার, প্রোডাকশন অফিসার,সহকারী IE অফিসার, Trainee মার্চেন্ডাইজার, সহকারী ডাইং মাস্টার হিসাবে যোগদান করে থাকে। আবার বিভিন্ন বিদেশী মাল্টিনেশনাল টেক্সটাইল ল্যাব এ ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দারুন চাহিদা আছে।সরকারী বিভিন্ন টেক্সটাইল এবং জুট অর্গানাইজেশনে যেমন BTMA,BKMEA অধিভূক্ত বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে চাকুরীর সুযোগ থাকে।