ডিপ্লোমা-ইন-অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
যে কোন জায়গায় চাকরি পাওয়ার চরম প্রতিযোগিতার এই যুদ্ধে গতানুগতিক বিষয়ে পড়ালেখা করে আগের মত সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে, সঠিক ক্যারিয়ার গড়তে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত ও কর্মমুখিশিক্ষা । এমন একটি কর্মমুখি শিক্ষা হচ্ছে অটোমোবাইল।
অটোমোবাইল শিল্পে কাজের ক্ষেত্র এখন বেশ বিস্তৃত । সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে ভাবে ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়ছে, তাতে দক্ষ কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির চাহিদাও বাড়ছে।
একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার গাড়ি তৈরি থেকে শুরু করে প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সংযোজন, গাড়ির যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে থাকেন। গাড়ির সমস্যা চিহ্নিত করে সার্ভিস করা, উপযুক্ত পার্টস সংযোগ করা এবং যুগোপু্যোগি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ব্যাবহার করার সিদ্ধান্ত নেন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা ।
অটোমোবাইল শিল্পে মুনাফার হার প্রচুর, এ সেক্টরে উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা যায়।
অটোমোবাইল শিল্পের বৃহৎতম সেক্টরটি হচ্ছে বেসরকারি । এ সেক্টরে উৎপাদন , সার্ভিসিং , সেলস , পাটস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে ভালো ক্যারিয়ার করা যায়। বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি , আর্থিক প্রতিষ্ঠান ( বাংক , বীমা ) কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানেও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ক্যারিয়ার করার বৃহৎ সুযোগ রয়েছে।
দেশে সরকারি চাকরিতেও অটোমোবাইলের প্রচুর চাহিদা । বিভিন্ন সরকারি আধা—সরকারি প্রতিষ্ঠানে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারে । এমন প্রতিষ্ঠান সমুহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স ও জ , রেল , সেতু , বিআরটিসি , সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমুহ , বিদ্যুৎ উৎপাদন , সঞ্চালন ও বিতরন কোম্পানি গ্যাস কোম্পানি প্রভৃতি ।
শুধু দেশে নয় বিদেশেও ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের। বিশ্বখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সমুহে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি বিমান , জাহাজ , কারখানাতেও প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বিদেশের গাড়ি মেরামতে গ্যারেজে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা আছে প্রচুর হারে ।
বর্তমানে দ্রুত বিকাশমান অটোমোবাইল শিল্পের নানা ধরনের কাজ সম্পন্ন করতে দক্ষ অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার একান্ত প্রয়োজন। আপনিও ইচ্ছা করলে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিইয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।